পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বহুল প্রত্যাশিত হান্ডিয়াল হতে পুচ্চার বিল খালটি ইতিমধ্যে পুণঃখননে বদলে গেছে কয়েকটি গ্রামের কৃষিচিত্র। এতে বিলের স্থায়ী জলাবদ্ধতা নিরসণ সহ বোরো উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা আসবে বলে মত কৃষি সংশ্লিষ্টদের ।
স্থানীয়রা জানান, পুচ্চার বিলের পানি নিস্কাশনের অন্যতম মাধ্যম এই হান্ডিয়াল পুচ্চার বিল খাল। দীর্ঘ কয়েক যুগেও এই খালটি খনন না হওয়ায় পলি/বালি পরে ভরাট হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিলো । সামান্য বৃষ্টির পানিতে প্রতিবছর হেক্টরের পর হেক্টর আধা পাকা ধান নষ্ট হতো। খালটি পুন: খনন করার ফলে প্রকৃত গভীরতা ফিরে এসেছে এবং উপকৃত হয়েছে আশেপাশের গ্রামের প্রায় ২০০০ কৃষক।
হান্ডিয়ালের বাসিন্দা মামুন খন্দকার জানান, প্রায় ১৮০০ একর ফসলি জমি নিয়ে এই পুচ্চার বিল, খালটি পুন:খননের ফলে এক ফসলি জমি তিন ফসলি জমিতে রুপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষক আব্দুর সাত্তার বলেন, বিলের ধান কেটে অতি সহজে নৌকায় করে তার বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছেন এবং উৎপাদিত পাট খালের মধ্য জাগ দিতে পারছেন ।
বিএডিসি পাবনা রিজিয়ন এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, পাবনা সেচ বিভাগের তত্ত¡াবধানে ‘‘পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ জেলার ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের’’ অর্থায়েনে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খাল টি পুন: খনন করা হয়। খননকরা খালে পানি সংরক্ষণ করে অতি অল্প খরচে জমিতে সেচ প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া খালের দুই তীরে তৈরি হয়েছে প্রায় ৪ কি: মি: পায়ে হাটার পথ। বৃক্ষ রোপণ করে এ খালের দুই তীরকে আরো আর্কষণীয় করার পরিকল্পনাও রয়েছে বিএডিসির।
বিএডিসির পানাসি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ.বি.এম. মাহমুদ হাসান খান বলেন, খালটি পুণঃ খনন করার কারনে ভূ-উপরিস্থ পানির প্রাপ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমানো যাবে এবং কৃষকের সেচের সুবির্ধাথে লো-লিপ্ট পাম্প ব্যাবহার করে অতি অল্প করচে ফসল উৎপাদন করতে পারবে।