ঝিঝি পোকার ডাক শুনতে চলে এসো প্রিয়
অন্ধকার উঠোনে মাদুর বিছিয়ে রেখেছি
উনুনে চড়িয়েছি লাল ধানের ভাত আর পাটের শাক
কুপি বাতির আলোয় গ্রামীন হাওয়া মিশে যাবে তুমি।
হয়তো পূর্ণিমা রাত পাবে না তুমি মশকের জ্বালায়
গোয়াল ঘরের ধুপের ধোয়ায় হয়তো বা অসস্তি
পাশেই নয়ন জোলের জলের জলকেলির শব্দ
মনের অজান্তেই ভুতপেতের বড্ড ভয়ের উৎকন্ঠা।
একদিন আমিও ছিলাম সেই প্রকৃতির পরিবেশে
সামান্য বৃষ্টিতে কাঁদা পায়ে আছাড় দেয়ার চিৎকার
ব্যাঙের গোটা চোখ আর গগন বিদারি কান্নার ডাক
সড়কের পাশে ঘাস থেকে খসে পড়ে জলের ফোটা।
রাতের বেচে থাকা ভাতে জমে যায় যতসব স্বাদ
দিনের শুরুতে কাচা মরিচ আর পেঁয়াজের মাড়াই
হয়তো বা বৃষ্টির আমেজে হলুদ ভাতের ঘ্রাণ
ঘানি সরিষার তেলের ঝাঁঝালো ঘ্রাণে অমৃত।
গোয়ালে বাঁধা গরু তরতাজা দুধের স্বাদ
চাউলের হাতে কাটা সেমাই মিশে যায় হৃদয়ে
পাটালীর ক্ষিরে সুগন্ধি ঘিরে বাতাসে ছোটে
ফিরে যাই শহর ছেড়ে গ্রামীণ ওই নীড়ে একটু খানি।
কলার ভেলার ভুরে বেড়া নদী বেয়ে জলকেলিতে
মাছরাঙার তীক্ষ্ণতায় টপেতে শিকার হয় ভাসা মাছ
ভেসে যায় দোলকচু আর হৃদয়ের ফেলে আসা স্মৃতি
সেকেলের স্মৃতিটা বড্ড একেলে বেদনাবিধুর হয়।