পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের চড়-ভাঙ্গুড়া কালী
মন্দিরের রেকর্ড ভুক্ত সম্পত্তি দখল দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মন্দির কমিটির
সভাপতি শ্রী বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষে পাবনার জেলা প্রশাসক,
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ
দায়ের করেছেন। একই সঙ্গে দখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে তিনি।
জানা গেছে, উপজেলার ভাঙ্গুড়া মৌজার চড়-ভাঙ্গুড়া গ্রামে ৭৫৭৮ দাগে ঘোষপাড়া কালী
মন্দিরের নামে রেকর্ড ভুক্ত ১৩ শতক জমি রয়েছে। মন্দিরের চার পাশে সীমানা প্রাচীর না থাকায়
সীমানা জরিপের জন্য ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি আবেদন করেন মন্দির কমিটি। এরপর গত
২১/০৪/২০২২ ইং তারিখে ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক টুকুন গ্রামের
মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের গ্রাম্যপ্রধানসহ আমিনদের নিয়ে জরিপের মাধ্যমে মন্দিরের
সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। পরবর্তীতে ওই সীমানা অনুযায়ী মন্দির কমিটি প্রাচীর নির্মাণ
কাজ শুরু করে। এমতাবস্থায় একই গ্রামের আবু তাহের ভূইয়ার ছেলে রবিউল করিম ওরফে বাবু
ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তার সহোদর তিন ভাই নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান করে এবং বিভিন্ন ভাবে
ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মন্দিরের সীমানা পাকা খুঁটি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
নির্মাণকাজের জন্য পাশে ইট-বালু পড়ে আছে। সীমানার ভেতরে দুটি টিনশেড ঘর তোলা
হয়েছে। ঘোষপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত ও গোপাল বলেন, গরুর গোবর ও প্রসাব রাস্তায়
ছিটে আসায় মন্দিরে যাতায়াতের অনেক অসুবিধা হচ্ছে।
মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের এক অংশ সম্পত্তি
বেদখল হয়ে রয়েছে। বাধ্য হয়ে বেদখলকৃত সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে
অভিযোগ করেছি। এখন দখলকারিরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। দখলকৃত সম্পত্তি
দখলমুক্ত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ জানান তিনি।
দখলদার বাবু ভূঁইয়া বলেন, এ জমি নিয়ে অনেক জটিলতা আছে। এসব নিয়ে আদালতে মামলাও
চলছে। তবে মন্দিরের সম্পত্তি বেদখল ও হুমকি দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর
দিতে পারেননি।
.
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ
পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, মন্দিরের জমি কেউ
ব্যক্তিগতভাবে ভোগদখল করতে পারবে না। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।