পাবনার আমিনপুর থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর মধ্যপাড়া এলাকায় স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন (১৯) কে হত্যার দায়ে স্বামী মো: মুজাম্মেল হককে গ্রেফতার করেছে আমিনপুর থানা পুলিশ। নিহতের পিতা জহুরুল ইসলাম জানায়, তার মেয়ে সুমাইয়া খাতুনকে পাবনার আমিনপুর থানার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের বিরাহিমপুর মধ্যপাড়ার তালেব আলীর ছেলে মোজাম্মেল হকের সাথে ৩ মাস আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পরেই তার পূর্বের স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ রাখা শুরু করে এবং আমার মেয়ে সুমাইয়ার সাথে ঝগড়া করে ও বিভিন্ন সময় মারধর করে । এক পর্যায়ে যখন মারধর বেশী শুরু করে তখন আমি আমার মেয়েকে আমার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসি। এরপর গত ২ জুলাই অভিযুক্ত মেয়ের জামাই ভূল স্বীকার করে আমার মেয়েকে পূনরায় আবার তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং আগের চেয়ে বেশী মারধর করতে থাকে। এরই জেরে আমার মেয়ে গত ৭ জুলাই নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহতের পিতা আরো জানায়, আমার মেয়েকে আত্মহত্যা করায় যে সকল ব্যক্তি জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে আমিনপুর থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। তারা হলেন, ১ মো: মোজাম্মেল হক ২. আলেয়া খাতুন (৪৫) ৩. আকলিমা খাতুন (১৯) ৪. বন্যা খাতুন (৩২) উভয়ের পিতা মো: তালেব আলী। এছাড়া ৫ একই এলাকার সাঈদ ফকিরের ছেলে রানা ফকির (৩২)। এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানায়, নিহত সুমাইয়া খাতুনের সাথে বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক অশান্তি সব সময় চলতো। সুমাইয়ার স্বামী পূর্বের বউ এর সাথে তালাক দেওয়া শর্তেও দেখা করতেন। একারণে সুমাইয়া মাঝে মাঝে নিষেধ করলে তাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করতেন অভিযুক্ত স্বামী মোজাম্মেল ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ কারণে সুমাইয়া শারিরীক নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করে৷ এ সকল বিষয়ে আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানায়, উক্ত ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে ১ নং আসামীকে গ্রেফতার করা হলেও বাকী সকলেই পালাতক রয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে