আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৮ পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) সংসদীয় আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবির) সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আ.লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মোঃ ইব্রাহী হোসেন “মুন” সংবাদ সম্মেলনের মাধ্য নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করেন। এসময় তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার নানা অসঙ্গতি ও দলে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ।
তিনি বলেন, বর্তমানে এই আসনের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা দলের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই প্রকৃত নেতাকর্মী ও দলের সাধারন মানুষের চাওয়া পাওয়ার কারনে তিনি নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। তবে দল প্রধান যাকেই নৌকা প্রতিক দিয়ে নির্বাচন করার জন্য পাঠাবেন তার জন্যই তিনি কাজ করবেন। তবে দলের অভ্যন্তরে বর্তমানে যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে সেটি নিরসন করতে না পারলে এখানে বেশ বিপাকে পরতে হবে নৌকার প্রার্থীকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ব্যতীত সারা বাংলাদেশে কোন হেভিওয়েট প্রার্থী কেউ না। যাকে নৌকা প্রতিক দিয়ে পাঠানো হয় সেই হেভিওয়েট প্রার্থী হয়ে যান।
২৯ অক্টোবর (রবিবার) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলোনায়তনে দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা ঘোষনা করেন তিনি। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তার পরিবার ও দলের সদস্য চাচা আবু হানিফ মোল্লা, চাচা মোফিজুল ইসলাম, চাচা কাইয়ুম মোল্লা, ভাই কাদের মোল্লা সহ তার সমর্থকেরা।
সংবাদ সম্মেলনে মুন বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে দলের জন্য জীবন বাজি রেখে শিবির অধ্যুষিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বিতারিত করে শিবির মুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষনা করেছি আমি। দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন সেটি পালন করেছি। বিগত সময়ের আমাদের এই আসনে নৌকার মাঝি হিসাবে যাকে মনোনয় দিয়েছেন তার পক্ষে কাজ করেছি। কিন্তু আজকে দলের নেতাকর্মীদের দাবি উঠেছে নৌকার মাঝি পরিবর্তনের।
আমাকে নির্বচন করতে না দেয়ার জন্য ইতমধ্যে নিজামী অনুসারী শিবির ক্যাডার জিহাদকে দিয়ে আমার প্রচার প্রচারনার পোস্টার বিলবোর্ড ছিড়ে ফেলা হয়েছে। বিগত সময়ে যে সকল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। তার অন্যতম কারন এই আসনে দলে হাইব্রিড দ্বারা নিয়ন্ত্রণের কারনে। প্রকৃত নেতাকর্মীরা বর্তমান সময়ে বঞ্চিত হয়েছে। বিগত সময়ের যে সকল স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে দলের প্রার্থী নৌকার প্রার্থীদের ষড়যন্ত্র করে হারিয়ে দেয়া হয়েছে। তাই সময় এসেছে পরিবর্তনের। বর্তমানে পাবনা-১ আসনে আ.লীগকে শক্তিশালী করতে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে প্রার্থীতা পরিবর্তন করতে হবে। কারন আসন্ন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হবে। সেখান সাধারন মানুষ দলের নেতাকর্মী নৌকার কান্ডারি দেখে ভোট দেবেন। বর্তমানে এই আসনটিতে দলে পরিবার ও জামায়াত-বিএনপি থেকে আসা হাইব্রিডদের দখলে রয়েছে। এখানে প্রকৃত দলের নেতাকর্মীদের সকল কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ২০০৪ সালের পর থেকে এই আসনটিতে কোন পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। অভ্যন্তরিক কোন্দলের কারণে দলের নেতাকর্মীদের নামে শতাধিক মামলা হয়েছে। তাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়ন করতে দলের নেতাকর্মীরা প্রার্থী পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন। এই আসনে আমাকে দলের নৌকার মনোনয়ন দিলে সাধারন নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে নিজ তাগিদে আসবেন। অমি মনে করি পরিবর্তনের ছোঁয়াতে আগামী নির্বচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিতি হবে ব্যাপক। তাই এই আসনে আমি নৌকার কান্ডারি হতে চাইছি।
