পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার পুন্ডুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজাদ খান এর বিরুদ্ধে স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্যে নিজ স্ত্রীর নামে এক প্রার্থীর নিকট থেকে প্রায় এক বিঘা জমি লিখে নেওয়া ও নগদ অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। সভাপতির স্ত্রীর নাম মোছা: ফারজানা মুস্তারী। জানা যায়, চলতি বছরে পুন্ডুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচটি শুন্য পদে নিয়োগ হয়। এই সুযোগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি আজাদ খান ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটির দুই একজন সদস্যের যোগসাজশে নিয়োগ বানিজ্য করে।
এতে কারো কাছে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা করে নেয়। জানা যায়, আমিরুল ইসলাম নামে এক প্রার্থীর কে চাকুরী দেয়ার কথা বলে সভাপতি স্ত্রীর নামে প্রায় এক বিঘা জমি লিখে নিয়ে চাকুরী দেন। স্থানীয়রা জানান, ঐ বিদ্যালয়ে ফুটবল খেলার মাঠ বড় করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই নিয়োগ বাণিজ্য করেন সভাপতি। পছন্দের পাঁচজন প্রার্থী নিয়োগের পর মাঠ বড় করার নামে কয়েক ট্রাক বালু ফেলে মাঠ মাছ বড় করনের সমাপ্তি ঘটায়। এর পর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে বেশকিছুদিন আগে মাঠ পরিচালনা কমিটি,খেলোয়াড়,স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া কিছু শিক্ষার্থীরা বড়সড় আন্দোলনের আয়োজন করে।
বিষয়টি নামে বা কথিত শিল্পপতি টের পেয়ে স্থানীয় পাতি নেতাদের দিয়ে নানারকম হুমকিধামকির মাধ্যমে সেই আন্দোলন বন্ধ করে দেন। সভাপতি আজাদ খাঁন ও প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ খান সম্পর্কে চাচা ভাতিজা। দুই চাচা ভাতিজার সমন্বয়ে অর্ধকোটি টাকা তাদের পকেটে। এ নিয়ে স্থানীয়দের কোন কথা বলার সাহস নেই। এবিষয়ে যেই কথা বলতে যায় তাকে নানারকম ভয়ভীতি দেখিয়ে চুপ করে রাখে।
ইতিপূর্বে এই নিয়োগ বাণিজ্যের ব্যাপারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, পুন্ডুরিয়া স্কুলের সভাপতি আজাদ খান নামেই শিল্পপতি তাহার মনমানসিকতা একদম নিচু। আমাদের দাবি স্কুলের মাঠ বড় করা হোক।
