জীবন তিন বর্ণের একটি শব্দ। এটি দীর্ঘ নয় বরং খুবই সংক্ষিপ্ত। শৈশব, কৈশোর, যৌবন ও বার্ধক্য এরই মধ্যে সীমাবদ্ধ। জন্মের পর থেকে প্রতিটি মূহূর্ত পার করতে হয় কোনো না কোনো সংগ্রাম করে। কারো জীবনে সেই সংগ্রাম অনেক বেশি, কারো তুলনামূলক কম। সব মিলিয়ে জীবন একটি জটিল বিষয়। কিন্তু এই জটিল বিষয় দিন দিন আরও অনেক বেশি জটিল হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সময়ে একজন শিশুর শৈশব কালের সীমাবদ্ধতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। শিশুকাল থেকে একজন মানুষ তার চারপাশের পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে বড় হয়ে ওঠে। কিন্তু শিশুরা দিন দিন একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে অবুঝ পিতামাতার কঠোর শাসন। শিশুরা ভেজা কাঁদার মত। ভেজা কাঁদাকে যেমন নিজের ইচ্ছা মত আকার দেওয়া যায়, তেমনই শিশুদেরও সুন্দর ও সভ্য ভাবে বড় করা যায়। কিন্তু আমরা করছি তার উল্টো। কড়া শাসনে শিশুদের সীমার মধ্যে রাখার চেষ্টা চলছে। শহরের পিতামাতাদের মধ্যে এই প্রবণতাটি বেশি লক্ষনীয়। তারা শুধু পড়াশোনা ছাড়া তাদের বাচ্চাদের আর কিছুই করতে দিতে রাজি না। কিন্তু একটি শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য ছোট বেলা থেকেই তার নিজের একটি জগৎ থাকা দরকার। যেমন তার পরিবারের মধ্যে সঠিক শিক্ষার ব্যবস্থা, আচার আচরণ শিক্ষা,আবার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। ঠিক একই ভাবে শিশুর মনকে প্রফুল্ল রাখার জন্য খেলাধুলা ও মানসিক প্রসান্তিকর আনন্দের প্রয়োজন। শিশুরা বড়দের অনুকরণ করে। তাই শিশুদের সামনে কখনো কর্কষ আচরণ করা ঠিক নয়। কিন্তু পরিবার থেকে স্কুল,পড়াশোনা থেকে আনন্দ সব কিছুর মধ্যেই তাকে কর্কষ আচরণের সম্মুখীন হতে হয়।
আর এসকল কারণে শিশুদের সুপ্ত মেধার বিকাশ হচ্ছে না। যদিও আমরা তাদের স্কুলের পড়াশোনার ও পরিক্ষার ভালো ফলাফল পাচ্ছি। যদিও সেটি সবার ক্ষেত্রে না। তবে বাস্তব জীবনে আমরা ফলাফল হিসেবে পাচ্ছি শূন্য। শিশু তার মগজে বই পুরতে পুরতে বাহ্যিক পৃথিবীর সকল বিষয় থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
সুতরাং আমাদের সুন্দর একটি ভবিষ্যতের আশায় আজকের শিশুকে আগামি দিনের জন্য মুক্তভাবে গড়ে তুলতে হবে। জীবন হবে সহজ,ভবিষ্যৎ হবে সুন্দর।
পাবনা টাইমস২৪/ আতিকুর রহমান রাজা