সব

গল্প কথায় ইউ‌রো‌পের ই‌তিহাস: কি‌স্তি ১১

গল্প কথায় ইউ‌রো‌পের ই‌তিহাস: কি‌স্তি ১১

গল্প কথায় ইউ‌রো‌পের ই‌তিহাস: কি‌স্তি ১১ প্যারিসের এক অজানা গল্প

ড. মো. আ‌নোয়ারুল ইসলাম

গল্পের আসরে সবাই বসে অপেক্ষা করছে মন্ডল সাহেবের জন্য। মন্ডল সাহেব খুব খুশি জেনিফা, জিনিয়া, লিমন, নাহিদ সবার ইতিহাস পাঠের আগ্রহ দেখে। তবে মন্ডল সাহেব রুমে ঢুকতে গিয়ে বললেন সরি আমার একটু দেরী হয়ে গেল। আজ তোমাদের সঙ্গে নতুন এক অতিথি নিয়ে এসেছি। আমার বন্ধুকে রিসিভ করতে গিয়েই দেরী হয়ে গেলো। চলো আমার অতিথির সঙ্গে তোমাদের পরিচয় করিয়ে দিই।
ঠিক আছে আমি নিজেই পরিচিত হচ্ছি বলেই আগন্তক ব্যক্তি বললেন আমি আওয়াল। মন্ডল সাহেব আমার বন্ধু। আমরা দুইজন একসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। পড়াশোনা শেষ করে দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন। ইউরোপের ইতালি, ফ্রান্স এবং লন্ডন এই মিলেই থাকা। তাতেই কেটে গেছে চল্লিশ বছর।
এতদিন হয়ে গেল। বুঝাই যাচ্ছে না। মন্ডল সাহেব আরো যোগ করলেন আমার এই বন্ধু ছাত্র জীবনে খুবই মেধাবী ছিল। আবার দুষ্টুও ছিল।
সেই কতো আগের কথা বলেই দুইজন হাসতে লাগলো।
এই দেখ, তোমাদের সুযোগ না দিয়ে আমরা নিজেরাই অতীত ঝালাই করছি বলে আওয়াল ওদের দিকে একটু তাকালো।

হ্যাঁ খুব ভালো লাগছে। নাহিদ বলতে থাকে।
বেশ শুনে খুশি হলাম।
মন্ডল সাহেব বললেন এবার তাহলে আমরা গল্পে চলে যাই কি বলো? মন্ডল সাহেব বললেন আচ্ছা তার আগে তোমাদের একটা প্রশ্ন করি ফ্রান্সের ভার্সাইয়ের নাম কে কে শুনেছো।
কেন ভার্সাই‌য়ের নাম আমরা ক‌পোতাক্ষ নদ ক‌বিতা‌টি পড়‌তে গি‌য়ে শু‌নে‌ছি। মাই‌কেল মধুসূদন দত্ত এই ক‌বিতা‌টি ফ্রা‌ন্সের ভার্সাই নগরী‌তে ব‌সে লি‌খে‌ছি‌লেন।
মন্ডল সা‌হেব বল‌লেন হ‌্যা ঠিকই ব‌লে‌ছো। ত‌বে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর ভার্সাই নগরী‌তে বা ভার্সাই রাজপ্রাসা‌দে স‌ম্মেলন হ‌য়ে‌ছিল।
এবারে আওয়াল বললো তোমাদের গল্পের মাঝখানে আমি ঢুকে পড়ি। দেখো আশির দশকে আমিও স্কুলের ছাত্র থাকাবস্থায় মাইকেল মধুসূদনের জন্য ফ্রান্সের শুধু ভার্সাই নগরীর নাম জানতাম। কিন্তু নব্বই এর দশকে যখন ইউরোপ গেলাম দেখলাম সমগ্র প্যারিসই হলো দেখার মতো। পৃথিবীর শিল্পী সাহিত্যিকদের কাছে এক স্বপ্নের শহরের নাম হলো প্যারিস। এই শহর হলো শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যে ভরপুর। কী নেই এখানে। প্যারিসের বুকে গর্বের আইফেল টাওয়ার, ভার্সাই রাজপ্রাসাদ, ল্যুভ মিউজিয়াম। পর্যটকদের কাছে প্যারিস কিংবা আদুরে গলায় ডাকা হলো চোখ ধাঁধানো আর হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যমন্ডিত এক শহর । এ যেন অর্ধেক বাস্তব আর অর্ধেক কল্পনা মিশ্রিত। ইতিহাস-চেতনা, সৌন্দর্যবোধ, শিল্প-সাহিত্য আর জীবনদর্শন যেন প্যারিসের রাজপথে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
ফরাসী ভাষাকে বলা হয় ভালোবাসার ভাষা আর প্যারিসকে বলা হয় ভালোবাসার শহর। প্যারিসের আরেক আশ্চর্য ধরা হয় প্যারিসের বুক চিরে বয়ে চলা সেন নদীকে। একটি শহরের বুকে সন্ধ্যা কতটা উপভোগ্য হয়, সে অনুভূতি মেলে প্যারিসের সেন নদীতে। যখন সন্ধ্যা নামে, চারপাশের সমস্ত ঐতিহাসিক স্থাপত্যে আলোয় জ্বলে ওঠে, রঙ-বেরঙয়ের কত রূপই না ধরে প্যারিস। তখন মুহূর্তের জন্যে যেন স্তব্ধ হয়ে ওঠে সময়।
প্যারিসকে সিটি অফ লাইটস বা আলোকিত শহর বলেও অভিহিত করা হয়। ইউরোপের প্রথম শহর হিসেবে প্যারিসের রাস্তায় রাস্তায়ই প্রথম গ্যাস চালিত ল্যাম্পপোস্ট স্থাপিত হয়। সন্ধ্যার গাঢ় অন্ধকারে যখন পুরো ইউরোপ তলিয়ে যেত তখন প্যারিস স্বমহিমায় আলো ঝলমলে এক রূপ নিয়ে সবাইকে চমকে দিতো। আর তাই তো সিটি অফ লাইটস বা আলোকিত শহর নামে এখনও পরিচিত প্যারিস।
কাগজে কলমেও প্যারিসের নাম “লা ভিল্লা ল্যুমিয়ের” নামে খ্যাত। ইউরোপের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় প্যারিস ইউনিভার্সিটি (লা সোরবোন্নে) এর জন্য ইউরোপের অন্যতম জ্ঞান-বিজ্ঞানের তীর্থভূমি ছিল এই প্যারিস।
তোমরা যদি কখনো কাউকে ভালোবাসো। আর সেই ভালোবাসা চিরবন্ধনের অটূটে বেঁধে রাখতে চাও তাহলে তোমাদের সেন নদীর ব্রীজের রেলিংয়ে তালা ঝুলিয়ে আসতে হবে।
ব্যাপারটা কী রকম লিমন জিজ্ঞেস করে।
সেন নদীতে অনেক ব্রীজ আছে। তুমি যখন ব্রীজগুলোর উপর দিয়ে হাঁটতে যাবে দেখবে ব্রীজের রেলিংগুলোতে এক ধরণের বিশেষ তালা ঝুলে আছে। এগুলোকে “লাভ প্যাডলক” বলে । এটা হলো ভালোবাসার মানুষগুলো একজন অন্যজনের নামের আদ্যক্ষর দেয়া একটি তালা ব্রীজের রেলিংয়ে বেঁধে রাখেন এবং চাবিটি ফেলে দেন সেন নদীতে। চাবি হারিয়ে যাওয়ার ফলে তালা কখনো খুলে যায় না; ঠিক বন্ধনও যেন জনম জনম বন্ধনেই বাঁধা থাকে। প্যারিসের রূপ আর গুণের আরও খ্যাতি আছে। ফ্যাশন, স্টাইল আর আভিজাত্যের শহরও বলা হয় প্যারিসকে । এটা হচ্ছে আধুনিক ফ্যাশনের রাজধানী। কেন বলা হয় জানো কারণ “প্যারিস ফ্যাশন উইক” এর জন্য। এর নাম কে না শুনেছে? সেই ১৮০০ শতকের শুরু থেকেই সৌন্দর্য আর ফ্যাশন সচেতনতার মিলনমেলা হিসেবে খ্যাত প্যারিস। পৃথিবীর বিখ্যাত সব ফ্যাশন ডিজাইনার এবং ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর ঘাঁটি এই শহর। বলেই আওয়াল হা হা করে উচ্চস্বরে হাসতে থাকে।
এবারে নাহিদ বলতে থাকে আপনার দেয়া প্যারিসের বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে প্যারিস না দেখলে বোধ হয় জীবনের কিছুই দেখা হবে না। আচ্ছা প্যারিসের কোন জিনিস দেখে আপনি সবচেয়ে বেশী আশ্চর্য হয়েছিলেন আওয়ালকে পাল্টা প্রশ্ন করে।
দেখো নাহিদ এই প্রশ্নের উত্তরে হয়তো ফ্রান্স থেকে ঘুরে আসা যে কেউ বলবে আইফেল টাওয়ার কিংবা ল্যুভর মিউজিয়ামের কথা। আইফেল টাওয়ার না দেখা মানে হলো ফ্রান্সে না যাওয়া। এই দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য বা ফ্রান্সের প্রতীক দেখতে প্রতিবছর গড়ে সাত মিলিয়ন পর্যটক প্যারিসে যায়। আর বিশ্বখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামের কথা কে না শুনেছে? লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি এর অমর কীর্তি “মোনালিসা” সংরক্ষিত আছে এই মিউজিয়ামেই। ৩,৮০,০০০ এর বেশী দর্শনীয় বস্তু আছে এই ল্যুভর মিউজিয়ামে। এবারে খানিকটা দম নিয়ে আওয়াল বললো এই ল্যুভর মিউজিয়ামে এক বাঙালি ছেলের পোর্ট্টেট দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম!
মন্ডল সাহেবও অবাক হয়ে আওয়ালের দিকে তাঁকিয়ে বললো বাঙালি ছেলের ছবি টাঙানো আছে ল্যুভর মিউজিয়ামে। কার ছবি, বাড়ী কোথায়। প্রশ্নের উপর প্রশ্ন করতে থাকে।
আওয়াল বললো বলছি বন্ধু। ধীরে ধীরে সবই বলবো। এই ইতিহাস জেনে আমিও অবাক হয়েছিলাম।
ল্যুভর মিউজিয়ামে বাঙালি যে ছেলেটির ছবি টাঙানো আছে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের ছেলে।
তাঁর নাম লুই বেনো জামর। খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত হবার পর তাঁর এই নাম করন। হয়তো চট্টগ্রামে তাঁর নাম ছিল জমির বা জামাল কিংবা এই রকম অন্য কিছু। ঘটনাটা ১৭৬০ সালের আগে বা পরের। তখন জামরের বয়স ছিল ১০ বা ১১ বছর। ধারণা করা হয় পর্তুগিজ দাস ব্যবসায়ীদের হাতে পড়ে বিক্রি হতে হতে এক সময় সে ফ্রান্সে গিয়ে পৌঁছে।
ফ্রান্সে তাঁকে দাস হিসেবে কিনেছিলেন কাউন্টেস দ্যু বারি । তিনি জামরকে ১৭৭০ সালে খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তকরণ করেন। তাঁর ধর্মান্তকরণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিচেলিউয়ের ডিউক ফ্রান্সিস। ধর্মান্তরিত হবার সময় মিসেস বারি জামারের গড মাদার হয়েছিলেন। জামার যখন প্যারিসে, তখন সমগ্র ফ্রান্স উত্তাল ফরাসী বিপ্লবের আন্দোলনে। জা জাক রুশোর বই পড়ে জামারও অপেক্ষা করতে থাকে ফরাসী বিপ্লবের।
খানিকটা বিরতি নিয়ে আওয়াল আবারো বলা শুরু করলো আচ্ছা ফরাসী বিপ্লবের নাম তো তোমরা শুনেছো। ফ্রান্সের রাজতন্ত্র হঠিয়ে দিয়ে পৃথিবীর রূপ বদলে দিল যে ইতিহাস তার নাম ফরাসি বিপ্লব। পৃথিবী কাপানো আরো বিপ্লব আছে যেমন রুশ বিপ্লব তারপরেও ১৭৮৯ সালে শুরু হওয়া ফরাসী বিপ্লবের পরেই অর্থ, বাণিজ্য, শিল্পে নতুন জোয়ার এসেছিল। ফরাসী বিপ্লবের প্রভাব এতো বেশি ছিল যে বলা যায় পৃথিবীর আজকের এই রূপ, নিয়ম এবং অবস্থার পেছনে ফরাসী বিপ্লবের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এই ফরাসী বিপ্লবের সময় বিপ্লবীদের হাতে গ্রেফতার হন সম্রাট লুইয়ের রক্ষিতা কাউন্টেস দ্যু বারি। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! জামার নিজেই তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিলেন। মাদাম বারির ভাগ্য টেনে নিয়ে যায় গিলোটিনে।
জিনিয়া জিজ্ঞেস করলো জামার কেন মাদাম বারির বিরুদ্ধে সাক্ষী দিলো।
আওয়াল বললো জামারের মনে অনেক ক্ষোভ জমা ছিল। মাদাম বারির আচরণ তাঁকে কখনো স্বস্তি দেয়নি। দাস হিসেবে যাদের ক্রয় বিক্রয় করা হতো। তাদের প্রতি অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হতো। অলিভার রানসফোর্ড এর দি স্লেভ ট্রেড বইটি পড়লে তোমরা বুঝতে পারবে। এছাড়া মাতৃভূমিতে ফিরতে না পারার দু:খবোধ জামারকে সবসময় তাড়া করেছে। আর কাউন্টেস দ্যু বারি ছিল সম্রাট ষোড়শ লুইয়ের রক্ষিতা। অভিজাত হবার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে বিপ্লবীরা জামারকে সাক্ষী দিতে উদ্বুদ্ধ করেছে। তবে আদালতে দ্যু বারির বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে গিয়ে জামার তার সত্য পরিচয় উদঘাটন করেছিল। ১৭৯৩ সালের ৬ ডিসেম্বর তারিখে জামর আদালতকে জানান তিনি কৃষ্ণাঙ্গ নন, তিনি বাংলাদেশী । তাঁর বাড়ি চট্টগ্রাম। তাঁকে দাস হিসেবে চট্টগ্রাম থেকে মাদাগাস্কারে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতেই তিনি মাদাম বারির ষড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁস করে দেন।

গল্পের আসরে সবাই বিস্মিত হয়!

আওয়াল বলে আমি নিজেও বিস্মিত হয়েছিলাম! জামারের ইতিহাস আসলে চাপা পড়ে থাকা এক জীবন কাহিনী। জামারের বেশ কয়েকটি ছবি ফ্রান্সের জাদুঘরে দেখেছি। জামারের তেল রঙে আঁকা একটি প্রতিকৃতি আছে। ছবিটি এঁকেছেন ফ্রচয়া হিউবার্ট। যেখানে দেখা যায় জামার মাদাম বারিকে চা দিচ্ছেন। তবে মারি ভিক্তর লোমোয়ার নামে ফরাসি শিল্পীর আঁকা জামরের প্রতিকৃতি আছে ল্যুভরে। সেখানে জামরকে দেখে কিছুতে বাঙালি মনে হয় না।

জামার সম্পর্কে জানার কিন্তু অনেক তথ্য পাওয়া যায়। কাউন্টেস দ্য বারির লেখায়, কোর্টের সাক্ষী দিতে গিয়ে নিজের বর্ণনা, ল্যুভর জাদুঘরের তেলচিত্র এই রকম টুকরো টুকরো ইতিহাসের অনেক উপাদান। আর সেগুলো নিয়েই ২০০৩ সালে ইভ রুজিয়ে নামের ফরাসি লেখিকা ‘লে রিভ দ্য জামর’ নামে জামরকে নিয়ে উপন্যাস লিখেছেন। ১৯৭৮ সালে তাকে নিয়ে বেরিয়েছে কমিক স্ট্রিপ। এরপর অনেক ইতিহাসবিদ, গবেষক, সাংবাদিক জামারের নানা উপাখ্যান তুলে ধরে তাঁকে জীবন্ত করে তুলেছেন।
মন্ডল সাহেব বললেন বাহ্ বেশ গল্প কথায় ইউরোপের ইতিহাসে আমরা আজ প্যারিসের কথা শুনলাম। আগামী দিনে আমরা হিটলারের প্যারিস জয়ের গল্প শুনবো বলে সবাইকে ছুটি দিয়ে দুই বন্ধু পুরনো দিনের আড্ডায় ফিরে গেলেন।

আপনার মতামত লিখুন :

তুই মানে – ইমি

তুই মানে – ইমি

গল্প কথায় ইউ‌রো‌পের ই‌তিহাস: কি‌স্তি ১১

গল্প কথায় ইউ‌রো‌পের ই‌তিহাস: কি‌স্তি ১১

গল্প কথায় ইউ‌রো‌পের ই‌তিহাস: কি‌স্তি ৮

গল্প কথায় ইউ‌রো‌পের ই‌তিহাস: কি‌স্তি ৮

হেমন্তের হাতছানি ! 

হেমন্তের হাতছানি ! 

“শিশুদের সুপ্ত বিকাশ হোক বাঁধাহীন”

“শিশুদের সুপ্ত বিকাশ হোক বাঁধাহীন”

অনন্যা – আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী

অনন্যা – আরিফ আহমেদ সিদ্দিকী

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার: PabnaTimes24.Com

সম্পাদক: মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান
০১৭২১৭৪৭৯৬৫
অফিসঃ ৪র্থ তলা, রানা শপিং কমপ্লেক্স , পাবনা প্রেস ক্লাব গলি, আব্দুল হামিদ রোড, পাবনা-৬৬০০
pabnatimes24.com@gmail.com